মোঃ শরিফুল ইসলাম – পরিবর্তনে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ
সদস্যের নামঃ মোঃ শরিফুল ইসলাম
আইডি নংঃ ২৬
সমিতি কোড নংঃ ৫০৯
শাখাঃ বাগবাড়ি
সংস্থাঃ ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি)

প্রেক্ষাপটঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলাস্থ লাহিড়ী বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ শরিফুল ইসলাম (৫২)পিতা মোঃ মৃত জহুরুল ইসলাম। আমাদের আদি ব্যবসা এই তাঁত ব্যবসা। আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে বংশানুক্রমিক সিরাজগঞ্জের ঐতিবাহী তাঁত ব্যবসা শুরুকরেন। শুরুতে তিনি ক্সপত্রিক সূত্রে পাওয়া ২ টি পিক লুম দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তার ১০ টি পাওয়ার লুম এবং ৪ টি আধুনিক রেপিয়ার লুম। রেপিয়ার পাওয়ার লুম কিনতে গিয়ে তার মূলধন ঘাটতি দেখা দেয়। গত ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এসইপি প্রোগামের আওতায় ৩০০০০০ (তিনলক্ষটাকা) এনডিপি হতে ঋণ গ্রহণ করে তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।

 পূর্বে কারখানর স্বাস্থ্য সুরক্ষা অবস্থা

বর্তমানে কারখানর স্বাস্থ্য সুরক্ষা অবস্থা

এসইপি প্রকল্পে সংশ্লিষ্টতাঃ
মোঃ শরিফুল ইসলাম গতানুগতিক ধারায় তাদের ব্যাবসায়িক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। তিনি কখনো তাদের কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনায় নিজেদের ও শ্রমিকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও কর্ম পরিবেশের উন্নয়ন তথা টেকসই ব্যাবসায়িক ধারণা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেননি। ফলশ্রুতিতে তাদের অজান্তেই তারা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন: কানে কম শোনা, শ্বাসকষ্টশ, চোখেরর নানা সমস্যা, বিভিন্ন চর্ম রোগ সহ আরও নানান জটিলতায় ভুগতে থাকে। এ সমস্ত স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি তারা কখনো তাদের কারখানায় বিদ্যমান বিভিন্ন ঝুঁকি যেমন: অগ্নি দূর্ঘটনা, জেনারেটর হতে নির্গত কালো ধোয়া ও শব্দে সৃষ্ট বায়ু দূষণও শব্দ দূষণ, চলমান মেশিনে সংঘটিত কোন দূর্ঘটনার ক্ষতি প্রশমনে কোন প্রকার প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে ভাবেননি এমনকি কখনোই তাদের মনে হয়নি তাদের ব্যবসা ক্ষেত্রে এই বিষয় গুলোর কোন দরকার আছে। কিন্তু ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও পিকেএসএফের অর্থায়ন ও এনডিপি কর্তৃক বাস্তবায়িত সাসটেইনেবলএন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের(এসইপি) ঋণ দানকার্যক্রম শুরুহওয়ার পর মোঃ শরিফুল ইসলাম উল্লিখিত বিষয় সমূহের গুরুত্ব সম্পর্কে এনডিপির কর্মীদের মাধ্যমে পরিচালিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জানতে পারেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন চলমান প্রকল্পের আওতায় ঋণ গ্রহণ করে তার কারখানায় পরিবেশবান্ধব অনুশীলনের চর্চা শুর ুকরবেন। মোঃ শরিফুল ইসলাম গত গত ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট তারিখে চলমান প্রকল্পের অগ্রসর-এসইপি ঋণ খাত হতে ৩০০,০০০/=( তিন লক্ষ টাকা) ঋণ গ্রহণ করে তাঁর ব্যবসার পরিধি
বাড়াতে ও কারখানায় পরিবেশবান্ধব অনুশীলন নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হন। তিনি একজন আধুনিক তাঁত উদ্যোক্তা এই অঞ্চলের মানুয়ের মাঝে তিনিই প্রথম আধুনিক রেপিয়ার পাওয়ার লুম নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।তিনি তার আধুনিক লুমে গামছার পাশা পাশি আরো অন্যান্য জিনিস ‣তরী করার কথা ভাবছেন।দুইটি রেপিয়ার লুম দিয়ে যাত্রা শুরু করে এখন তার কারখানায় ৪ টি রেপিয়ার পাওয়ার লুম।তাকে দেখে অনেকেই এখন রেপিয়ার পাওয়ার লুম কারখানায় সংযুক্ত করতে চাইছে। তিনি নিজেও সবাই কে উৎসাহ প্রদান করছেন। রেপিয়ার পাওয়ার লুমে অল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে স্বল্প সময়ে অধিক পরিমান মাল ক্সতরী করা সম্ভব।

 আগের অবস্থা ফাস্ট এইড বক্স নাই

বর্তমান অবস্থা ফাস্ট এইড বক্স

পরিবেশগত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিঃ
ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান ও গ্রহণ যোগ্যতা বৃদ্ধিও লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা তাঁর কারখানায় পরিবেশগত উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রæতি প্রদান করেন।

তিনি যে সমস্ত পরিবেশগত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসমূহ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছিলেন তা নিন্মরুপঃ
১. স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাস্ক পরিধানকরা।
২. ফাস্ট এইড বক্স এর ব্যবস্থা করা
৩. অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাপনা।
৪. কারখানার আভ্যন্তরীণ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।

 পূর্বে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাপনা ছিল না

বর্তমানে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাপনা আছে

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়িত পরিবেশগত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সমূহঃ
উদ্যোক্তা নিন্ম লিখিত পরিবেশগত উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডসমূহ তাঁর কারখানায় বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন
১. স্বাস্থ্য সুরক্ষায়মাস্ক পরিধানকরা।
২. ফাস্ট এইড বক্স এর ব্যবস্থা কর
৩. অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থাপনা।

ভবিষ্যতপরিকল্পনাঃ
তিনি বলেন, “২০ বছরের ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতায় এ ব্যাবসায় নানা পরিবর্তন আমি দেখেছি তবে কখনোই পরিবেশবান্ধব অনুশীলনের চর্চা নিয়ে এর আগে কেউ কিছুবলেনি। এনডিপির স্যারদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর থেকে এবং স্যারদের উৎসাহে আমি আমার প্রতিশ্রুত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করছি। আমি এখন বুঝতে পারছি পরিবেশ বান্ধব অনুশীলনের চর্চার গুরুত্ব এবং আশা করছি ভবিষ্যতেও আমি নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে এই অনুশীলন অব্যাহত রাখব।”তিনি আরও বলেন যে, তিনি আশে পাশের কারখানার মালিকদের কেউ এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করছেন।